🔥আমরা যখন ভাবি বা কাউকে বলি যে কেন আমরা ব্যর্থ বা কেন এখনো আশানুরূপ সফলতা পাইনি তখন আমরা নিজের ব্যর্থতা বা অলসতাকে শিকার না করে আমাদের ৩য় হাত দেখাই আর তা হল অজুহাত।যেমন আমাদের এইটা ছিল না,আমার ওইটা ছিলনা,আমার টাকা ছিল না, আমার ভাল কিছু নেই এমন শত শত অজুহাতের অভাব হয়না।কিন্তু যার হাত পা কিছুই নেই সেই ব্যক্তি যখন একজন মিলিওনিয়ার এর অবস্থানে চলে যায় নিজের যোগ্যতা দিয়ে তখন আমাদের মত সুস্থ সবল মানুষের কোন অজুহাত ই আর মানায় না।
👉তো ভিউয়ার আজ এমন একজন ব্যক্তিকে নিয়ে কথা বলব যার হাত পা না থাকা সত্তেও বিশ্বের অন্যতম একজন সফল ব্যক্তি।যাকে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী একজন মোটিভেশনাল স্পিকার হিসেবে ধরা হয়।স্বাভাবিক মানুষ থেকে শারিরীক ভাবে পিছিয়ে থাকার কারনে যিনি আত্তহত্তা করা চেষ্টা করেছিল তিনি আজ পুরো বিশ্ব দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।তাই আজ কথা বলব এই ব্যক্তিকে নিয়েই।তো ভিউয়ার আমাদের সাথে থাকুন হয়ত এই ব্যক্তির সংগ্রামি জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আজ থেকেই আপনার ব্যর্থ জীবন ঘুরে যেতে পারে।আর আজ থেকে আপনাদের মাথায় পারবো না কথাটি আসবে না এই পোষ্টটি পড়ার পর।
🔴নিক ভুজিসিক ৪ ডিসেম্বর ১৯৮২ সালে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। টেট্রা-আমেলিয়া সিনড্রোম এর কারণে চার হাত-পা ছাড়াই তার জন্ম হয়।বিশ্বের খুবকম বাচ্চা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাত পা ছাড়াই জন্ম গ্রহন করে এর মধ্যে নিক একজন।জন্মের পড় যারা তাকে আদর করে কোলে নিবার কথা সেই বাবা মা তাকে দেখে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল।আর মা তাকে প্রথমে কোলেই নিতে চায় নি যদিও পরে তাকে গ্রহন করেছিল। স্বাভাবিকভাবেই তাকে শিশুকাল থেকেই মানসিক ও দৈহিকভাবে সংগ্রাম করতে হয়। যদিও তার iq স্বাভাবিক মানুষের মতই ছিল, তার হাত পা নেই তবে ছোট বিক্রিত পায়ের পাতার সাতে ২টি আংগুল রয়েছে আছে যা নিজেই নিক নিজেই মজা করে এবং চিকেন ড্রাম স্টিক বলে।তার ছোটকাল ছিল অনেকটা বিভিশিকার মত।তার মা বাবার ইচ্ছে ছিল তাকে ভাল একটি স্কুলে পড়ানোর কিন্তু তার শারীরিক এই অবস্থার জন্য মূল ধারার কোন স্কুলে তার ভর্তি নিতে চায়নি কেউ।তাকে সবাই প্রতিবন্দি হিসেবে দেখত তাই প্রতিবন্দি স্কুলেই তাকে ভর্তির পরামর্শ দিত।তারপরো তিনি শেষে একটি স্কুলে ভর্তি হন,কিন্তু সংগ্রাম করে স্কুলে ভর্তির পর তার আরো সমস্যার মধ্যে পরতে হয় তার হাত পা না থাকার কারনে।সবাই তাকে উপহাস করত এবং সে প্রচণ্ড হতাশায় পড়ে যায়।
👉আট বছর বয়সে, তিনি আত্মহত্যার কথা চিন্তা করেছিলেন এবং এমনকি দশ বছর বয়সে নিজের বাথটবে নিজেকে ডুবিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁর বাবা-মায়ের প্রতি ভালবাসা তাকে ফিরে আসতে বাধ্য করে। বেশ কয়েক বার চেষ্টার পরে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে তিনি চান না যে তার প্রিয়জনদের কষ্ট হোক। অবশেষে নিক নিজের জিবনকে ইতিবাচক ভাবে গ্রহণের জন্য কাজ করেছিলেন। নিক খুব প্রার্থনা করেছিলেন যেন ইশ্বর তাকে হাত ও পা দেন কিন্তু তাতো আর সম্ভব না। তবে, তাঁর বিশ্বাসের মোড় ঘুরে এলো যখন তাঁর মা তাকে গুরুতর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে একটি ম্যাগাজিন তাকে দেখিয়েছিলেন ।এর পরেই ভুজিসিক বুঝতে পেরেছিলেন যে তিনি তার সংগ্রামি জীবনে একা নন এবং তার মত মানুষকে দেখে নিক অনুপ্রানিত হয়। এর পরে নিক বুঝতে পারলেন যে এই ভাবে নিজেকে গুটিয়ে রাখা কোন জীবন না।
👉অঙ্গহীন ব্যক্তিরা কীভাবে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ব্যতীত পূর্ণ জীবনযাপন করতে পারে তা ধীরে ধীরে তিনি তা শিখতে থাকেন । নিক শুধু মাত্র তার বিকৃত বাম পায়ে দুটি আঙ্গুল এর সাহাজ্যে যা করতে পারেন তা স্বাভাবিক মানুষও পারেনা।অভাক হলেও সত্যি খুব দক্ষতার সাথে কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারেন এবং প্রতি মিনিটে 45 শব্দ পর্যন্ত টাইপ করতে পারেন যা অনেক সবল মানুষও পারে না।শুধু তাই নয় তিনি গল্ফ, সাঁতার কাটা, এমনকি তিনি স্কাই ডাইভিং ছাড়াও টেনিস বল খেলতে পারেন, দাঁত ব্রাশ করা, ছাড়াও তার দৈনন্দিন কাজ তিনি নিজেই করতে পারেন শুধু মাত্র তার বিকৃত দুটি আঙ্গুল দিয়ে।নিক তার অতিরিক্ত সময়ে স্কাইডাইভিং, সার্ফস, সাঁতার এবং পেইন্ট করে থাকেন। 17 বছর বয়সে, তাঁর হাইস্কুলে একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন হয়েছিল যা তাঁর জীবনকে চিরতরে বদলে দেয়।মূলত সেই স্কুলের দারোয়ান নিককে অংশগ্রহন করতে উতসাহ দিয়েছিল।দারোয়ান নিকের মধ্যে এমন কিছু দেখেছিলেন যা তিনি নিজে দেখেননি।কিন্তু সেখানেও তাকে অনেকেই অবজ্ঞা করে।সে স্টেজে উঠার পর অনেকে দর্শক ই চলে যায়।
👉 মাত্র ৬ জন শিক্ষার্থীর সামনে নিক তার প্রথম বক্তৃতাটি দিয়েছিলেন। নিক সেখান থেকেই আশার আলো দেখতে পায়।নিক অন্যদের কাছে প্রকাশ্য স্পোকিংয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিক মাত্র সতের বছর বয়সে তার অলাভজনক সংস্থা ‘লাইফ উইথ লম্বস’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।নিক ২১ বছর বয়সে গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটি থেকে হিসাব বিজ্ঞান ও “ব্যবসা পরিকল্পনা” বিষয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তীতে অনুপ্রেরণামূলুক বক্তব্য দিতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেন। তিনি পাঁচ উপমহাদেশের ষাটটি দেশে ঘুরে প্রায় ত্রিশ লাখ মানুষের কাছে নিজের বক্তব্য পৌঁছে দেন।নিক নিজের কাজ টিভি শো এবং নিজের লেখার মাধ্যমে জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেন। ২০০৫ সালে নিজের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার উপর ভিত্তি করে তিনি “Life’s Greater Purpose” নামে একটি ডক্যুমেন্টারি চলচ্চিত্রের ডিভিডি বাজারে ছাড়েন। ২০১০ সালে তার রচিত প্রথম বই “Life Without Limits:” প্রকাশিত হয়। এছাড়াও যুব সমাজকে অনুপ্রানিত করার লক্ষ্য “No Arms, No Legs, No Worries!” নামের একটি ডিভিডি প্রকাশ করেন।
👉দ্যা বাটারফ্লাই সার্কাস নামের একটি চলচ্চিত্রে নিক অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্রটি ২০০৯ সালে “Doorpost Film Project’s” এ প্রথম পুরস্কার অর্জন করে।”দ্যা বাটারফ্লাই সার্কাস” চলচ্চিত্রটিতে “উইল” চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করার জন্য ২০১০ সালে নিক Method Fest Independent Film Festival” এ সেরা অভিনেতা পদক লাভ করেন।ভাবা যায় হাত পা না থাকা বেক্তিটি সেরা অভিনেতা হয়েছিল নিজের যোগ্যতা বলে।আর আমাদের হাত পা থাকা সত্তেও কত অজুহাত।২০০৫ সালে যুব অস্ট্রেলিয়ান অব দ্যা ইয়ার পুরষ্কারের জন্য তিনি মনোনয়ন লাভ করেন।আজ নিক বিশ্বের সবচেয়ে বেশি চাহিদা-সমৃদ্ধ একজন speaker।২০০৮ সালে নিকের এমন এক মহিলার সাথে দেখা হয়েছিল যিনি নিকের মোটিভেশনাল স্পিচ শুনতে এসেছিলেন।যার নিকের প্রতি দুর্বলতা ছিল এবং চার বছর পরে তাদের বিয়ে হয়।
👉যে মানুষটিকে দেখলে মানুষ আতকে উঠত আজ সেই মানুষটি আজ বিশ্বের প্রায় ষাট টির ও বেশি দেশে ভ্রমন করেছেন তার মোটিভেশনাল স্পিচ দিবার জন্য।যাকে স্কুলে কেউ ভর্তি নিতে চাচ্ছিল না যাকে নিয়ে সবাই উপহাস করত সে ব্যাক্তির বক্তিতায় আজ হাজারো মানুষ সপ্ন দেখে।যার কিছুই ছিল না উলটো মানুষের অবজ্ঞার শিকার হত আজ তিনি life without limbs ও attitude is altitude নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিক।তার নেট ওরথ প্রায় হাফ মিলিওন ডলার।তার কিছু না থেকেও আজ তার কর্মে তিনি বিশ্ব ব্যাপি ফেমাস এবং আর্থিক ভবেও প্রভাব শালি ব্যাক্তি আর আমরা সুস্থ থেকেও অজুহাত ছাড়া কিছুই দেখাতে পারিনা।ব্যার্থতা শিকার করার আগে যদি তার কথা একবার ভবেন তাইলে হইত আজ থেকে আপনি কখনই বলতে পারবেন না আমি পারব না।যদি সে পারে আপনিও পারবেন।
তার সেরা কিছু উক্তি রয়েছে তা আজ আপনাদের কাছে তুলে ধরছি।
🔴১ আমি যখন ব্যর্থ হই তখন আবার চেষ্টা করি,তারপর আবার চেষ্টা করি এবং আবার চেষ্টা করি।
🔴২ কিছু দুর্ঘটনা আপনাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে যদি আপনি না থামেন।
🔴৩ পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি না থাকলে আপনি দাঁড়াতেও পারবেন না।
🔴৪ ভয় সব থেকে বড় অক্ষমতা।যা হুইলচেয়ারে থাকার চেয়ে আপনাকে আরও বেশি প্যারালাইজ করবে।
🔴৫ স্রষ্টিকর্তার ভালবাসা এতটাই পিওর যে তিনি এটি প্রমাণ করার জন্য আপনাকে সৃষ্টি করেছেন।
🔴6 সংগ্রাম যত বেশি তত বেশি গৌরবজনক জয়।
ধন্যবাদ ফরেক্স বিডি এর সাথে থাকার জন্য।
আপনাদের সুবিধারতে এই আরটিক্যাল্টি সম্পূর্ণ ভিডিও আকারে তুলে ধরা হলো–ঃ 👇👇👇
📌 Our recommended brokers:
🔴 1st World’s Best Forex Broker House & 100% True ECN ( ICM ) Join Now-
✅ IC Markets Code – 15635

🔴 2nd Best Forex Broker & Strong Platform/Tickmill –
✅Tickmill code – IB62994170

🔴 3rd LiteForex ( Open ECN Type Acount) –

🔴 4th Best Forex Broker/ Exness ( Open ECN Type Acount)


📌এই লিংকে ক্লিক করে 👉🔺SKRILL👇NETELLER🔺👈 একসাথে ২ টি অ্যাকাউন্ট খুলুন এবং একসাথে একি ডকুমেন্টস সাবমিট করে কোন প্রকার ডিপোজিট ছাড়া 100% ভেরিফায় এবং ব্রোঞ্জ ভি আই পি পাবেন শুধুমাত্র নিচে দেওয়া লিংক দিয়ে একাউন্ট করে:
Click on Neteller / Skrill Logo 👈
👇👇👇


🔴 ১৮ মিনিটে Skrill Acc 100% ভেরিফায় প্রমাণসহ
🔴 Neteller 100% Verify PROOF Withour Deposit within 1 hour
🔴 Skrill Neteller 🔥 $১০০ ছাড়া ট্রানস্ফার করার সহজ উপায়গুলো 🔥
👉 🔴Subscribe 1st Bangla Forex YouTube Channel in the World (Forex BD) – https://goo.gl/8ZwSVW


©FOREXBD