🔥আজ এমন একজন ব্যক্তিকে নিয়ে কথা বলবো যিনি বিশ্বব্যাপী অনেক ফেমাস এবং বহুল আলোচিত ব্যক্তি। যাকে চিনে না হয়তো এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যাবে না। একটি অস্বচ্ছল পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও তিনি বসে ছিলেন বিশ্বের সবথেকে বড় ক্ষমতার আসনে। অভাব-অনঠনের সাথে লড়াই করে বড় হওয়া ব্যক্তিটি আজ শুধু একজন সুপরিচিত ব্যক্তি নয় তিনি একজন প্রভাবশালী এবং ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিও বটে। একজন পুরোপুরি আমেরিকান না হয়েও তিনি আমেরিকার ৪৪ তম প্রেসিডেন্ট। কিন্তু তবুও তার জীবনকে অন্যান্য প্রেসিডেন্টের সাথে তুলনা করা যায় না। যিনি তাঁর কর্মদক্ষতাবলে অর্জন করেছেন নোবেল পুরস্কার।যেই দেশে আগে কৃষ্ণাঙ্গদের বা কালো মানুষদের ঘৃণা করা হতো সেই দেশে অর্থাৎ আমেরিকায় তিনি প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট। তিনি হলেন বারাক হোসেন ওবামা। তাই আজ কথা বলব তাকে নিয়েই।
👉বারাক হুসেইন ওবামা। তার ডাকনাম ব্যারি। ১৯৬১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হনুলুলু শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন কেনিয়ান কৃষ্ণাঙ্গ আর তার মা ছিলেন আমেরিকান শ্বেতাঙ্গ নারী । বারাক ওবামার মা এন ডানহাম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে একটি সেনা শিবিরে জন্মগ্রহণ করে।বারাক ওবামার বাবার নাম ছিল বারাক ওবামা সিনিয়র আর তিনি জন্মগ্রহণ করেন কেনিয়ার লূও গোত্রে। ছোটকাল থেকেই তিনি ভেড়া চরিয়ে বেড়াতেন। তিনি স্কলারশিপে যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন তার স্বপ্নপূরণের উদ্দেশ্যে। আর এখানে এসেই তিনি পরিচিত হন এন ডানহাম এর সাথে। আর তারপর তারা বিয়ে করেন আর তাদের ঘরে জন্ম হয় বারাক হোসেন ওবামার। ছোটকাল থেকেই বারাক ওবামার সাথে তার বাবার তেমন সম্পর্ক ছিল না কারণ ওবামার দুই বছর বয়সেই তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। তাই তিনি বাবার সঙ্গে তেমন পাননি।বাবা-মায়ের ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার পর মায়ের কাছেই থেকে যান ব্যারি। ওবামার ছোটকাল কেটেছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় । জাকার্তায় ওবামার সমস্যা পরতে হয়েছিল। গায়ের রং কালো হওয়ার কারনে সে বর্নবাদের শিকার হতে হয়েছিল । এজন্য তার খুব মন খারাপ হতো।
👉কিন্তু একদিন সেই বন্ধুদের কাছেই অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেন তিনি।ওবামা এবং তার বন্ধুরা একদিন মাঠে খেলছিল। ঠিক ওই সময়ে কিছু ছেলে তাদের সাথে ঝগড়া বাধায়। কিন্তু ওবামার কোন বন্ধুই ভয়ে তাদের কিছুই বলতে পারছিল না। কিন্তু ওবামা ভয় পাবার পাত্র নয়। তাই সে ছুটে গিয়ে একটি পোষা কুমির নিয়ে আসে যা দেখে ভয়ে সে ছেলেগুলো পালিয়ে যায়। এরপর থেকে ওই ছেলেগুলো কোনদিন আর তাদের ডিস্টার্ব করেন নি। সেই থেকে ওবামা তার বন্ধুদের কাছে অনেক জনপ্রিয়। কিন্তু শুরুতেই ওবামা কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ার কারণে তাকে বর্ণবাদের শিকার হতে হয়েছে। আর আমেরিকায় আগে কৃষ্ণাঙ্গদের উপর কিভাবে অত্যাচার করা হতো তা হয়তো সবারই জানা। যা বর্তমানে কিছু কিছু জায়গায় অব্যাহত আছে। 1971 সালে যখন বারাক ওবামার বয়স 10 বছর তখন তিনি তার মা-বাবাকে ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে চলে আসেন। আমেরিকায় আসার পর ওবামার সাথে তার বাবার একবার সাক্ষাৎ হয়।সেটি ছিল শেষ দেখা কারণ এর পরেই তার বাবা যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চলে যান আর 1982 সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান ।
👉যুক্তরাষ্ট্রের হনলুলুতে তাকে একটি স্কুলে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে তিনি 1979 সালে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে। কিন্তু সেই স্কুলেই তাকে নির্মমভাবে বর্ণবৈষম্যের শিকার হতে হয়। স্কুলের পড়ালেখা শেষ করে তিনি লস অ্যাঞ্জেলসে চলে আসেন। সেখানে তিনি অক্সিডেন্টাল কলেজে ভর্তি হন। সেখানে দুই বছর পড়ার পর তিনি নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখান থেকেই 1983 সালের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপরই তিনি কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। প্রথমে তিনি বিজনেস ইন্টার ন্যাশনাল কর্পোরেশন এর চাকরি করেন তারপর নিউইয়র্ক পাবলিক ইন্টারেস্ট রিসার্চ গ্রুপ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তারপর সেখান থেকে তিনি চলে আসেন শিকাগোতে। সেখানে তিনি একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে তিন বছর কাজ করেন। তার পরেই তিনি হার্ভার্ড ল কলেজে ভর্তি হন। আর এরপরই তার জীবনে সফলতা আসতে থাকে। তিনি হার্ভার্ড ল রিভিউ এর সম্পাদক নির্বাচিত হন।এর দুই বছর পর তিনি সম্পাদক থেকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন। আর এটি ছিল তার জীবনে অনেক বড় অর্জন।কারণ এর আগে কখনো কোন কৃষ্ণাঙ্গ মানুষ প্রেসিডেন্ট হতে পারেনি। এরপর থেকেই তার ছোটবেলার ইচ্ছার দিকে তিনি এগিয়ে যেতে থাকে।
👉1991 সালে তিনি হার্ভার্ড ল কলেজ থেকে জুরিস ডক্টর ডিগ্রী লাভ করেন। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে ওবামার সাথে পরিচিত হয় মিশেল রবিনসন। তারা একে অপরকে ভালোবাসতেন আর তারা 1992 সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের পরিবারের দুইজন মেয়ে রয়েছে। একজনের নাম হচ্ছে মালিয়া এন ওবামা আর অপরটি নাম হচ্ছে নাতাশা ওবামা শাশা। যে দেশে নিগ্রোদের কে ঘৃণা করা হতো বা ছোট করে দেখা হতো সেই দেশে তিনি অনেক পরিশ্রম করে 1996 সালের ইলিনয়ের সিনেটর নির্বাচিত হন।এরপরই তাকে আর পিছে তাকাতে হয়নি কারণ 1998 সাল এবং 2002 সালেও তিনি পুনরায় নির্বাচিত হন। 2004 সালে তিনি বোস্টনে ডেমোক্রেটিক দলের জাতীয় সম্মেলনে এক জ্বালাময়ী ভাষণ দেন। সেই ভাষণে তিনি আমেরিকার সমস্যা আমেরিকার পিছিয়ে পড়ার কারণ এবং এই সকল থেকে উত্তরণের উপায় সহ উপস্থাপন করেন। আর তখন থেকেই তিনি আমেরিকান একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেন। কারণ তৎকালীন বুশ প্রশাসন অনেক সমালোচিত ছিল ইরাকের সাথে যুদ্ধ বাধানোর কারণে। আর সেই সময়ে ওবামা আমেরিকানদের স্বপ্ন দেখান। এরপর 2004 সালে আমেরিকার সিনেট নির্বাচনে তিনি অংশ নেন আর সেখানে তিনি 70 শতাংশ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। অনেকেই মনে করেন একজন কৃষ্ণাঙ্গ হয়েও এই জয়ের পিছনে সেই বোস্টনের ভাষণ এর ভূমিকা রয়েছে। 2007 সালের 10 ফেব্রুয়ারি ডেমোক্রেট দল থেকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পান। এরপরের ইতিহাস সবারই জানা
👉2008 সালে 4 নভেম্বর আমেরিকার নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিক দলের পদপ্রার্থী ম্যাককেইনকে বিপুল ব্যবধানে পরাজিত করে। আর তখনই তিনি করে ফেলেন অনন্য এক ইতিহাস। অর্থাৎ আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট। অর্থাৎ কৃষ্ণাঙ্গ মানুষরা যে অবহেলার পাত্র নয় তা তিনি প্রমাণ করে দেখান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্ব বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন 2011 সালে 32 জনের নাম পার্সন অব দ্য ইয়ার হিসেবে মনোনীত করে। সেই তালিকায় বারাক ওবামা জায়গা করে নেয়। যেই তালিকায় আরও ছিল স্টিভ জবস অ্যাঞ্জেলা মার্কেল লিওনেল মেসিসহ বিখ্যাত ব্যক্তিরা ।2012 সালে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো টাইম ম্যাগাজিনের পার্সন অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে মনোনীত হন। তার অসামান্য অবদানের জন্য তিনি 2009 সালে নোবেল প্রাইজ লাভ করে।ছোট থাকতে একদিন স্কুলে শিক্ষক বলেছিল একটি রচনা লিখতে নিজেদের ইচ্ছা সম্পর্কে সেখানে তিনি লিখেছিলেন যে তিনি বড় হয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে চান। তার লেখা দেখে তার শিক্ষক মনে করেছিলেন যে হয়তো তিনি মজা করে লিখেছেন। কিন্তু আসলেই যে তার মনের ভিতর হওয়ার ইচ্ছাটা যে ছিল আকাশচুম্বী না হয়তো কারো জানা ছিল না। তার চেষ্টা এবং অক্লান্ত পরিশ্রম এর কারণেই তিনি পেরেছিলাম একজন কৃষ্ণাঙ্গ হয়েও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে। অর্থাৎ নিজের উপরে দৃঢ় বিশ্বাস এবং সঠিক উপায়ে পরিশ্রমী পারে যে কোনো বাঁধা পাড়ি দিতে।
ধন্যবাদ ফরেক্স বিডি এর সাথে থাকার জন্য।
আপনাদের সুবিধারতে এই আরটিক্যাল্টি সম্পূর্ণ ভিডিও আকারে তুলে ধরা হলো–ঃ 👇👇👇
📌 Our recommended brokers:
🔴 1st World’s Best Forex Broker House & 100% True ECN ( ICM ) Join Now-
✅ IC Markets Code – 15635

🔴 2nd Best Forex Broker & Strong Platform/Tickmill –
✅Tickmill code – IB62994170

🔴 3rd LiteForex ( Open ECN Type Acount) –

🔴 4th Best Forex Broker/ Exness ( Open ECN Type Acount)


📌এই লিংকে ক্লিক করে 👉🔺SKRILL👇NETELLER🔺👈 একসাথে ২ টি অ্যাকাউন্ট খুলুন এবং একসাথে একি ডকুমেন্টস সাবমিট করে কোন প্রকার ডিপোজিট ছাড়া 100% ভেরিফায় এবং ব্রোঞ্জ ভি আই পি পাবেন শুধুমাত্র নিচে দেওয়া লিংক দিয়ে একাউন্ট করে:
Click on Neteller / Skrill Logo 👈
👇👇👇


🔴 ১৮ মিনিটে Skrill Acc 100% ভেরিফায় প্রমাণসহ
🔴 Neteller 100% Verify PROOF Withour Deposit within 1 hour
🔴 Skrill Neteller 🔥 $১০০ ছাড়া ট্রানস্ফার করার সহজ উপায়গুলো 🔥
👉 🔴Subscribe 1st Bangla Forex YouTube Channel in the World (Forex BD) – https://goo.gl/8ZwSVW


©FOREXBD